Tuesday 5 January 2016

ছোটখাট তাৎক্ষণিক কড়চা : রাজনীতি অর্থনীতি, বিপদ ও সুযোগের মূল্যায়ন

বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনীতি কর্মচঞ্চল কিন্তু স্থবির। অর্থনীতির এই স্থবিরতা ২০০৭ থেকেই শুরু হয়েছে এবং এখনো বিশেষত ২০১১তে আরো গভীর হয়েছে। এরকম স্থবিরতায় সামনে পা ফেলতে অর্থনীতি তার বিপদগুলোকে অবমূল্যায়ন করতে পারে এবং সুযোগগুলোকে করতে পারে অতিমূল্যায়ন। বিপদের অবমূল্যায়ন হয় কারণ অর্থনীতি ভাবতে থাকে আর কী এমন বিপদে পড়ব এবং সুযোগের অতিমূল্যায়ন হয় কারণ অর্থনীতি ভাবতে থাকে এই সুযোগটাকে গ্রাস করতে পারলে পুরোপুরি উতরে যাব। ঠিক এখানেই দেশের সর্বোচ্চ নির্বাহী পদে যিনি আছেন, তার ভাবনার পরিসর বাড়াতে হবে। এবং তার সার্বক্ষণিক খেয়াল রাখতে হবে অর্থনীতির বিপদগুলোর ঠিক মূল্যায়ন না হলেও মারাত্মক অবমূল্যায়ন যেন না হয়। আর অর্থনীতির সুযোগগুলোর ঠিক মূল্যায়ন না হলেও মারাত্মক অতিমূল্যায়ন যেন না হয়।
বাংলাদশের বর্তমান রাজনীতি মুখর কিন্তু স্থবির। এই স্থবিরতাও শুরু হয়েছে ২০০৭এ এবং ২০০৯ সাল থেকে এটি ক্রমশ আরো স্থবিরতার দিকে যেতে যেতে ২০১১ও পার করেছে। এরকম স্থবিরতায় সামনে পা ফেলতে রাজনীতি তার বিপদগুলোকে অতিমূল্যায়ন করতে থাকে এবং সুযোগগুলোকে করতে থাকে অবমূল্যায়ন। বিপদের অতিমূল্যায়ন হয় কারণ রাজনীতির পারদ চড়ে তার না ভরাডুবি হয় এই আশঙ্কায় তার ক্ষমতা ভয় পেতে থাকে এবং সুযোগের অবমূল্যায়ন হয় কারণ রাজনীতির গভীর ক্ষমতাবলয় সুযোগগুলোকে কাজে লাগানোর প্রতিজ্ঞা ও মানসিক শক্তির অভাব বোধ করতে থাকে। ঠিক এখানেই বিদ্যমান রাজনীতির সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তিটিকে নিরন্তর খেয়াল রাখতে হয় রাজনীতির বিপদগুলোর ঠিক মূল্যায়ন না হলেও মারাত্মক অতিমূল্যায়ন যেন না হয়। আর রাজনীতির সুযোগগুলোর ঠিক মূল্যায়ন না হলেও মারাত্মক অবমূল্যায়ন যেন না হয়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (প্রমকা) যদি অর্থনীতির বিপদ ও সুযোগ নিয়ে এবং প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন (প্রমবা) যদি রাজনীতির বিপদ ও সুযোগ নিয়ে ২০১২ সাল জুড়ে এই মূল্যায়নের সূত্রের দিকে নজর দেন তাহলে ২০১৩ সাল বাংলাদেশের জন্য স্থবিরতা থেকে গতিশীলতার দিকে যাত্রার এক অনন্য বছর হয়ে উঠবে আশা করছি। প্রমকা ও প্রমবা-র সেই সাহস আছে শক্তিও আছে এখন শুধু বছর জুড়ে যত্নের সাথে পরিচর্যাটা প্রয়োজন।


  

৫ টি মন্তব্য/প্রতিক্রিয়া এসেছে এ পর্যন্ত:

  1. মাসুদ করিমমাসুদ করিম লিখেছেন:
    অর্থ মন্ত্রণালয় নিয়ে আগেও বহুবার এই উক্তি করেছি, আবারও করছি, এবং জোরের সাথেই বলছি, অর্থ মন্ত্রণালয়ের জন্য ‘অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদ’ খুবই প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। অন্তত তিন জন বিশেষজ্ঞ অর্থনীতিবিদ বা চার জন হলে আরো ভাল, নিয়ে একটা উপদেষ্টা পরিষদ অর্থমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসাবে থাকুক — তিন জন হলে একজন ম্যাক্রো ফিন্যান্স বিশেষজ্ঞ, একজন মাইক্রো ফিন্যান্স বিশেষজ্ঞ, একজন শেয়ার বাজার বিশেষজ্ঞ; আর চার জন হলে সাথে একজন আন্তর্জাতিক ব্যবসা বিশেষজ্ঞ।
  2. মাসুদ করিমমাসুদ করিম লিখেছেন:
    বাংলাদেশ নিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসের বাণিজ্যপাতায় হালকা চালের সংবাদগল্প। কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ, ‘সাব-সেভেন’ থেকে ‘সেভেন ক্লাবে’ বাংলাদেশের যাওয়াটা পরিশ্রমসাধ্য এবং খুবসম্ভবত যাচ্ছেই। প্রধান তিনটি চালিকাশক্তি : বিদেশ থেকে আসা রেমিটেন্স, শক্তিশালী আভ্যন্তরীন চাহিদা এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম গার্মেন্টস রপ্তানিকারক দেশ।

No comments:

Post a Comment