Wednesday 30 March 2016

একটি মতাদর্শহীন জোটের ইতিকথা- নৃ্সিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী

 একটি মতাদর্শ হীন জোটের ইতিহাস

স্থান : নভেরা আহমেদের গোপন ডায়েরি

জীবনেরও দেয়ার সীমাবদ্ধতা আছে, আমি জানি। জন্ম না হলে হয়তো জানা হত না, কিন্তু জন্ম হয়ে যা জানা হল তাতে আমি প্রতিটি দিন কালো থেকেছি – মৃত্যু আমি বয়ে বেড়িয়েছি, বুদ্ধের চোখের মতো : প্রণত পাপড়ির রেখার মাঝে, তারা, যা ধ্যান খচিত – সংখ্যা মনে রাখতে হয় শুধু, চারটি পাপড়ি, দুটি তারা, কে আনত কেউ জানে না, সবাই জানে আমরা দেখছি দুটি চোখ, আর সবার মতো, বুদ্ধেরও।
আমাকে কাজ করতে না দেয়ার অনেক যুক্তি থাকতে পারে, আমাকে অবজ্ঞা করার অনেক উপায় থাকতে পারে, আমাকে বসবাস করতে না দেয়ার অনেক উপলক্ষ থাকতে পারে, আমাকে অপ্রাসঙ্গিক ভাবার অনেক প্রকল্প থাকতে পারে, আমাকে যৌনবস্তু ভাবার অনেক প্রস্তাব থাকতে পারে, আমাকে অবাংলাদেশ ভাবার অনেক প্রগতিঅপ্রগতিশীল থাকতে পারে, আমাকে চামুচমুখেদেয়া বৈভবখোর ভাবার অনেক সংগ্রামঅসংগ্রামশীল থাকতে পারে – কিন্তু সবকিছুর বিপরীতে কথা হল আমি নিরন্তর কাজ করেছি।
আর কাজের জন্য আমি স্থান বদল করেছি বা স্থান নির্বাচন করেছি। এবং ইতিহাসের পাতা জুড়ে আপনি দেখবেন অনেকেই তাই করেছেন – কিন্তু আমি কেন আলাদা হয়ে গেলাম? –আপনাদের দেখার ভুলেই নিশ্চয়।
আপনারা কেন আমাকে এভাবে দেখলেন? – এটা আমার কোনো প্রশ্ন বা অভিমান নয়, এটা আমার বোধ, এটা এমন নয় স্থানকালের কিছু পাত্রের পরিবর্তন হলেই আপনাদের দেখার ভুল ঘটত না – সব ঠিকঠাক চলত, তা কিন্তু নয়। মন খুলে বলুন তো কত জন ভাস্কর আছে বাংলাদেশে? কত জন ভাস্কর কাজ করে বাংলাদেশে? কতটা ভাস্কর্যপ্রবণ বাংলাদেশ? তাহলে বলুন কোথায় দাঁড়িয়ে আপনাদের ভুল দেখা ঠিক হয়ে যেত?
শেষ পর্যন্ত কাজে থাকতে আমাদের অনেক কিছু করতে হয়ই, যেমন কাজ শিখতেও আমাদের অনেক কিছু না করে থাকতে হয়। যেজীবন বেছে নিয়েছিলাম তার আদ্যোপান্ত আমাকেই ছিবড়ে নেবে তা জেনেই আমি জীবন শুরু করেছিলাম – আমার কোনো খেদ নেই, আমার কোনো অভিমান নেই – আপনাদেরও যা আছে ঝেড়ে ফেলুন। আমার কাজ যদি কোনো আগ্রহ তৈরি করে আপনাদের মধ্যে চেষ্টা করুন দেখুন আমার কাজ, আর যদি না করে অন্য কোনো আগ্রহের জায়গায় সময় দিন, আমার জীবন যদি কোনো আগ্রহ তৈরি করে আপনাদের মধ্যে আমার জীবনটাকে উদঘাটন করার চেষ্টা করুন, আর যদি না করে অন্য কোনো আগ্রহের জীবন উদঘাটনের কাজে সময় দিন – আমি চাই না এবং আশা করি কেউই চায় না আপনাদের সময়টা নষ্ট হোক।
আমি যেখানেই থেকেছি আমি যেখানেই গিয়েছি আমি বাংলাদেশের অনুরূপ স্থান বাংলাদেশের প্রতিরূপ স্থান বাংলাদেশের পণ্যরূপ স্থানে নিজেকে আবদ্ধ করার চেষ্টা করেছি, একটা কথা বলি আমার কাজে সেই ছাপ আছে – বাংলাদেশের ভাস্কর্যের ভবিষ্যতে তাই আমার ছাপ পড়বে – আমি বলছি – আপনারা দেখবেন।
বাংলাদেশে রাষ্ট্র্ ধর্ম

বাংলাদেশ আইনীভাবে ইসলামী দেশ হলো উচ্চ আদালতের আদেশ/নির্দেশ বলে। ১৯৮৮ থেকে ইসলামী ছিলই। ২৮/০৩/১৬-তে আবার আদালতের ছাপ্পা দেওয়ানো হলো নতুন করে। এর নেপথ্যে আসলে কী আছে?
দেশে মৌলবাদী হিংসা নিয়ে ব্যতিব্যস্ত হাসিনা। তিনি না পারছেন মৌলবাদ রুখতে, না পারছেন দেশকে ধর্ম নিরপেক্ষ করতে। ধর্মনিরপেক্ষ করতে গেলে ওনার মন্ত্রীসভাই একমত নয়। এরসঙ্গে আছে বিপুল মৌলবাদী তাণ্ডব। আছে আইএসদের অংশ সহ গোঁরা ইসলামীরা। এরা হয়ত দাঙ্গা লাগাতে পারে, এ'সন্দেহ হাসিনা-পারিষদেরও। জনগণের একটা বিশাল অংশও, বিশেষত হিন্দুরা চায় না যে, হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হোক। নাস্তিক মানুষের সংখ্যাও বিপুল; দিন দিন বাড়ছেও। অর্থাত্‍ প্রায় গৃহযুদ্ধের প্রাক অবস্থা। এমতাবস্থায় হাসিনা নাস্তিক, মৌলবাদী-গোঁরা ইসলামী ও হিন্দুদেরও চটাতে চান না। আবার, খালেদা এলে একটাও হিন্দু থাকবে না দেশে, এ'সন্দেহ হিন্দুদেরও। দেশ উত্তাল ধর্ষণ-খুন কাণ্ডে। অভিযুক্ত সেনা। দেশ উত্তাল ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের দাবিতেও। পরিস্থিতি সামলাতে নরমপন্থি ইসলামীদের দ্বারা আদালতে আবেদন করানো হয়। দুর্বল সওয়াল করানো হয়। আদালত রিট আবেদন খারিজ করে কার অঙ্গুলীহেলনে কে কে যেন জানে...! হাসিনা বাঁচলেন। এই আদালতেরই রায়ে রাজাকারদের ফাঁসি হয়েই চলেছে। তাই, আদালত দিয়ে ছাপ্পা দেওয়ানো হলো রাষ্ট্রধর্মেও। কারোর কিছু বলার নেই। হাসিনা বলবেন, "আদালত বলেছে...ইত্যাদি।" সাধারণ মানুষ এতটা তলিয়ে ভাববে না। মধ্যবিত্ত স্থিতিশীলতা বজায় রাখবে। মৌলবাদী-গোঁরা ইসলামীরা সন্তুষ্ট। হিন্দুদের কিছু বলার নাই আদালতের বিরুদ্ধে। নাস্তিকরা বোঝে; তবে অস্বস্তিতে আছে তারা। নিশ্চুপ। এখন তাদেরও বিপদ বাড়ল। বিপদ ভীষণ বাড়ল নারীদের। বোরখার চল হবে শুরু। কোরআন মেনে শরীয়ত মেনে চললে যে কী কী হয়, তার উদাহরণ ছড়িয়ে আছে বিশ্বের ইসলামী দেশগুলোতে। বাংলাদেশ পিছন দিকে এগিয়ে যাবে হয়ত...! ছিঃ... রাজনীতিতেও আদালত... আদালতে রাজনীতি...! ছি ছি...
এটা নিশ্চিত যে, দেশটিতে গৃহযুদ্ধ আসন্ন। এটাও নিশ্চিত যে, বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষ হবেই। অপেক্ষা শুধু সময়ের। প্রস্তুতি চলতেসে। ততক্ষণ নীচের লিঙ্কটি পড়ে দেখেন।
ইসলামহীন দেশ গঠনের ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতা পড়তে পারেন এই লিঙ্কে>>>
http://lm.facebook.com/l.php…

Monday 28 March 2016


যাদবপুর, সংগ্রাম, শিরদাঁড়া , ভাষা ও অধিকার

by hajarduar
নতুন দিল্লি থেকে যাকে পশ্চিম বঙ্গ রাজ্যকে "পালন" করতে পাঠানো হয়, তিনি কেন রাজ্যের প্রায় সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ পদে অধিষ্ঠিত, এটা আমার কখুনো বোধগম্য হয়নি। বিশ্বের যেসব এলাকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলি আসলেই উত্কর্ষ-কেন্দ্র, অর্থাৎ অন্যে সেই উত্কর্ষের স্বীকৃতি দেয়, উত্কর্ষ-কেন্দ্র বলে ফলক লাগানোর মতো নির্লজ্জ লোক-হাসানো কাজ করা হয় না, সেখানে কিনতু প্রায় কোন ক্ষেত্রেই এইরকম কোন একটি সরকারী ব্যক্তিকে এই ধরনের পদে রাখা হয় না। কিনতু টাকা যে সরকার দেয়? সে তো বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতেও সরকারই  টাকা দেয়।  কারণ এটা সরকারী দায়িত্ব। বার্কলি শহরে স্থিত ক্যালিফর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় চলে মূলতঃ সরকারী অনুদানে। তার প্রধান কিনতু নিকোলাস ডার্ক্স নামের এক স্বনাম-ধন্য অধ্যাপক এবং শিক্ষাবিদ। তিনি দক্ষিন এশিয়া নিয়ে বিস্তর গবেষণা করেন। এই পদ পেতে তাঁকে  কোন মন্ত্রীর পিএইচডি গাইড হতে হয়নি।   ঠিক যেমন মানুষ খেতে পারছে কিনা, সেটা দেখা সরকারী দায়িত্ব। চালে ভর্তুকি দেওবার কারনে সরকার ঠিক করে দিতে পারে না যে সে চাল কবে, কখন, কিভাবে মানুষ রাধবেন, কি ভাবে খাবেন। ঠিক যেমন স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ভর্তুকি দেওয়ার কারণে, সরকারী ডাক্তারের মাইনে  দেওয়ার কারনে রাষ্ট্র ঠিক করে দিতে পারে না রুগীর চিকিত্সা কি ভাবে হবে, রোগ নির্ণয় কেমন করে হবে, কোন কোন রোগ নির্ণয় হবে, আর কোন কোন রোগ নির্ণয় হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে টাকা দেওয়ার কারণে সরকারী হস্তক্ষেপ ঠিক একই রকম অনধিকার প্রবেশ।
এই বাংলার রাজ্যপাল, উত্তরপ্রদেশ থেকে আগত কেশরিনাথ ত্রিপাঠি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সাম্প্রতিক ঘটনাগুলি ঘটেছে, তা নিয়ে কৈফিয়ত চাইতে উপাচার্য্য এবং স্বনামধন্য শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সুরঞ্জন দাসকে ডেকে পাঠান। বাংলা ও বাঙ্গালীর মান রেখে অধ্যাপক দাস বিশ্ববিদ্যালয় চত্তরে মতপ্রকাশের পূর্ণ স্বাধীনতার "অপরাধে" অপরাধী ছাত্র-ছাত্রীদের বিরুধ্যে পুলিশে নালিশ করেননি। এই বর্ধমানে ও কলকাতায়  অন্যত্র স্তাবকতার যুগে যাদবপুরের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিরদাঁড়ার অস্বিত্ব জানান দেবার কারণে উপাচার্যের আমাদের থেকে সাধুবাদ প্রাপ্য।
এই শিরদাঁড়ার কিয়দংশ যদি তাঁর আগে এই তৃণমূল আমলের সেই উপাচার্যের থাকত যিনি পুলিশ আনিয়ে বিক্ষোভরত ছাত্রছাত্রীদের পেটানোর ও যৌন লাঞ্চনা করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন , তাহলে সেই অন্ধকার দৃশ্য আমাদের দেখতে হত না। এই শিরদাঁড়া একটু ধার পেলে বামফ্রন্ট আমলে এই যাদবপুরেরই আর এক উপাচার্য্য ২০০৫-এ অনশনরত প্রতিবাদী ছাত্র-ছাত্রীদের পুলিশ দিয়ে পেটানোকে রুখতেন। এগুলোর একটাও আমরা ভুলিনি। তাই যখন দেখা যায় যে পুলিশ দিয়ে ছাত্র পেটানোর রাজনৈতিক কুশিলবরা দিল্লিতে গিয়ে সংহতি জানাচ্ছেন, আমাদের হাসি পায়। আবার ভয়ও লাগে।
কেশরিনাথ ত্রিপাঠি সম্প্রতি বলেছেন যে যাদবপুরের ব্যাপারটি শেষ।  এইবার লেখাপড়া  হোক।  দিল্লি-প্রেরিত আচার্য্যের নির্দেশের অপেক্ষায় কখুনো বসে থাকেনি নিখিল বাংলাদেশের গর্ব এই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।  এই বছরই প্রকাশিত বিজ্ঞান-প্রযুক্তি গবেষনায় উত্কর্ষের রেন্কিং-এ প্রকাশ যে ভারত সংঘরাষ্ট্রে শ্রেষ্ঠ ১০টির মধ্যে রয়েছে যাদবপুর।  কলকাতাও রয়েছে ২০র মধ্যে। নতুন দিল্লির কেন্দ্রীয় সরকার টাকা-পয়সা-অনুদানের ক্ষেত্রে রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সাথে যে চরম বৈষম্যমূলক আচরণ করে, শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে এনেছে এই কৃতিত্ব। যদি টাকা পয়সা রাজ্য ও কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ছাত্র-সংখ্যার উপর ভিত্তি করে একেক ছাত্রের উপর মাথাপিছু খরচার হারে সমবন্টিত হত, তাহলে এই উপমহাদেশে আজকে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্কর্ষ বেলুন ফুটো।  সাচ্চা উত্কর্ষ প্রকাশ পেতো।  নতুন দিল্লিতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিশেষ অনুদানে মত হয়ে ওঠা বিশ্ববিদ্যালয়গুলি এই ভাবে তাদের এলিটিজম বেছে অন্যদের থেকে সংহতি দাবি করত না। জহরলাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে দাঁড়ানোর মতই গুরুত্বপূর্ণ হত বর্ধমানের পাশে দাঁড়ানো। রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে একদিকে শিক্ষার বিশ্বে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক করে রাখা হয়েছে, আরেকদিকে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা সংস্থায় চলছে হিন্দি  প্রকল্প, হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্তানের দানবীয় আস্ফালন। আমাদের রাজ্যপাল কি এই সকল বিষয়ে তার  আচার্য্যের ভূমিকা পালন করেছেন?
গত মাস ছিল ২১ ফেব্রুয়ারির মাস, মাতৃভাষার মাস, মাতৃভাষার জন্য লড়াই-এর মাস। এখুনো ঝাড়খন্ডে ও বিহারে বাংলা-ভাষীরা বিক্ষিপ্ত ভাবে তাদের ভাষা অধিকারের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন অজস্র প্রতিকুলতার সঙ্গে সংগ্রাম করে। এ সংগ্রাম দৈনিক কারণ আমাদের আত্মপরিচিতি দৈনিক পাল্টায় না। অথচ এই ফেব্রুয়ারিতেই খোদ যাদবপুরে হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্তানের ঝটিকা বাহিনী সম্প্রতি যে হিংসাত্মক কার্যকলাপ চালালো, তার নেপথ্যে রয়েছে অন্য একটি অশনি সংকেত। সেদিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের সাধারণ সভা বা জেনেরাল বডি মিটিং-এ হেই একই গোষ্ঠী "হিন্দি মে বোল " ইত্যাদি বলে বাংলা বন্ধ করে ছাত্র প্রতিনিধিদের হিন্দিতে কথা বলতে বাধ্য করে। এ লজ্জা আমরা রাখবো কোথায়?  আমরা কি হিন্দি বলয়ে কখুনো এরকম কোন পরিস্থিতির কথা ভাবতে পারি? না , পারি না এবং সেটি কাম্য-ও না। কিনতু আমাদের বুঝতে হবে কেন এটা কলকাতায় বাংলাকে দমন করে হিন্দি চাপানো সম্ভব কিনতু  দিল্লিতে হিন্দিকে  পাশে সরিয়ে তামিল বা বাংলা চাপানো সম্ভব না।  আমাদের বুঝ নিতে হবে এই বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের বাণীতে ফাঁকিটা ঠিক কোথায়, কে রাজা আর কে প্রজা, কে প্রথম শ্রেণীর নাগরিক আর কে দ্বিতীয় শ্রেণীর, কে জন্মেই ভারতীয় আর কাকে সারাজীবন নিজের আত্মস্বত্তা বদলে ভারতীয় হবার প্রমাণ দিতে হয়। একুশে ফেব্রুয়ারী  সুযোগ করে দেয় ভাবতে - আমরা মানে কারা, কেন আমার রাষ্ট্র আমার করের টাকায় অন্যের ভাষা প্রচার করে কিনতু আমারটা করেনা। আমাদের ভেবে দেখতে হবে যে কে কারুর নিজের নিপীড়িত মাতা থাকতে বিমাতাকে পূজা করতে যে  রাষ্ট্র শেখায়, সে রাষ্ট্র কার আর সে রাষ্ট্র কার নয়।  আমরা পশ্চিম বাংলার বাঙ্গালী - বাংলার দেশের (বাংলাদেশ রাষ্ট্রের নয়) ভাঙ্গা পশ্চিম ভাগ। এই ভাষা আমাদেরও প্রাণের ভাষা, বেঁচে থাকার অবলম্বন, ভালবাসার মাধ্যম, পূর্বসুরীর স্মৃতি, উত্তরসুরীর উত্তরাধিকার, ব্রতের ভাষা- ধর্মের ভাষা-রাজনীতির ভাষা- ঘাম ঝড়ানো কর্মের ভাষা - প্রেমের ভাষা- ফোপানোর ভাষা - খোঁটার ভাষা - অপরাধের ভাষা- দাঙ্গার ভাষা-যৌনতার ভাষা -না বলা কথার ভাষা - ভুলে যাওয়া দিনের ভাষা - আগামীকালের ভাষা- মুক্তির ভাষা।  আমরা বাঙ্গালী।

Version 2:
নতুনদিল্লি যাকে পশ্চিমবঙ্গকে "পালন" করতে পাঠায়, তিনি কেন রাজ্যের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ পদে, এটা এক রহস্য। বিশ্বের যেসব বিশ্ববিদ্যালয়গুলি আসলেই নিজগুণে উত্কর্ষ-কেন্দ্র, নিজেকেই উত্কর্ষ-কেন্দ্র বলে ফলক লাগানোর মতো নির্লজ্জ লোক-হাসানো উত্কর্ষ-কেন্দ্র না , সেখানে কখুনই কোন সরকারী ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ পদে রাখা হয়না।বার্কলিতে স্থিত জগৎবিখ্যাত ক্যালিফর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় চলে মূলতঃ সরকারী অনুদানে। তার প্রধান এক স্বনাম-ধন্য অধ্যাপক এবং গবেষক। পদ পেতে তাঁকে কোন মন্ত্রীর পিএইচডি গাইড হতে হয়নি। কিনতু টাকা যে সরকার দেয়? সে তো বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতেও সরকারই টাকা দেয়। কারণ এটা সরকারী দায়িত্ব। ঠিক যেমন মানুষ খেতে পারছে কিনা, সেটা দেখা সরকারী দায়িত্ব। চালে ভর্তুকি দেওবার অজুহাতে সরকার ঠিক করতে পারে না যে কখন, কিভাবে ভাত মানুষ রাধবেন, খাবেন। সরকারী ডাক্তারের মাইনে দেওয়ার কারনে রাষ্ট্র ঠিক করতে পারে না রুগীর চিকিত্সা ও রোগনির্ণয় কি ভাবে হবে, কোন রোগ নির্ণয় হবে, কোন রোগ নির্ণয় হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকারী হস্তক্ষেপ একই রকম অনধিকার প্রবেশ।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সাম্প্রতিক ঘটনাগুলি ঘটেছে, এই বাংলার রাজ্যপাল, উত্তরপ্রদেশ থেকে আগত কেশরিনাথ ত্রিপাঠি তা নিয়ে কৈফিয়ত চাইতে উপাচার্য্য স্বনামধন্য শিক্ষাবিদ সুরঞ্জন দাসকে ডেকে পাঠান। বাংলা ও বাঙ্গালীর মান রেখে অধ্যাপক দাস বিশ্ববিদ্যালয় চত্তরে মতপ্রকাশের পূর্ণ স্বাধীনতার "অপরাধে" অপরাধী ছাত্র-ছাত্রীদের বিরুধ্যে পুলিশে নালিশ করেননি। বর্ধমানে ও কলকাতায় অন্যত্র স্তাবকতার যুগে যাদবপুরের শিরদাঁড়ার অস্বিত্ব জানান দেবার কারণে উপাচার্যের সাধুবাদ প্রাপ্য। এই শিরদাঁড়ার কিয়দংশ যদি তাঁর আগে এই তৃণমূল আমলের সেই উপাচার্যের থাকত যিনি পুলিশ আনিয়ে বিক্ষোভরত ছাত্রছাত্রীদের পেটানোর ও যৌন লাঞ্চনা করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন, তাহলে সমাজের কল্যাণ হত। এই শিরদাঁড়া একটু ধার পেলে বামফ্রন্ট আমলে এই যাদবপুরেরই আর এক উপাচার্য্য ২০০৫-এ অনশনরত প্রতিবাদী ছাত্র-ছাত্রীদের পুলিশ দিয়ে পেটানোকে রুখতেন। এগুলোর একটাও আমরা ভুলিনি। যখন দেখি যে পুলিশ দিয়ে ছাত্র পেটানোর রাজনৈতিক কুশিলবরা দিল্লিতে গিয়ে সংহতি জানাচ্ছেন, আমাদের হাসি পায়। ভয়ও লাগে।
কেশরিনাথ ত্রিপাঠি সম্প্রতি বলেছেন যে যাদবপুরের ব্যাপারটি শেষ। এইবার লেখাপড়া হোক। দিল্লি-প্রেরিত আচার্য্যের নির্দেশের অপেক্ষায় কখুনো বসে থাকেনি নিখিল বাংলাদেশের গর্ব যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এই বছরই বিজ্ঞান-প্রযুক্তি মন্ত্রক প্রকাশিত গবেষনায় উত্কর্ষের রেন্কিং-এ ভারত সংঘরাষ্ট্রে শ্রেষ্ঠ ১০টির মধ্যে রয়েছে যাদবপুর। কলকাতাও রয়েছে ২০র মধ্যে। নতুনদিল্লির কেন্দ্রীয় সরকার টাকা-পয়সা-অনুদানের ক্ষেত্রে রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সাথে যে চরম বৈষম্যমূলক আচরণ সত্ত্বেও শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে যাদবপুর দেখিয়েছে উত্কর্ষ। যদি কেন্দ্রের অনুদান রাজ্য ও কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ছাত্র-সংখ্যার ভিত্তিতে একেক ছাত্রের উপর মাথাপিছু খরচার একই হার ধরে বন্টিত হত, তাহলে উপমহাদেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের উতকর্ষের বেলুন ফুটো হত। সাচ্চা উত্কর্ষ প্রকাশ পেতো। নতুনদিল্লিতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিশেষ অনুদানে মোটা হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলি তাদের এলিটিজম বেচে অন্যদের থেকে সংহতি দাবি করত না। জহরলাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে দাঁড়ানোর মতই গুরুত্বপূর্ণ হত বর্ধমানের পাশে দাঁড়ানো। রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে একদিকে শিক্ষার বিশ্বে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক করে রাখা হয়েছে, আরেকদিকে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা সংস্থার উপর চলছে হিন্দি চাপানোর প্রকল্প, হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্তানের দানবীয় আস্ফালন। এই বিষয়ে আচার্য্য রাজ্যপালের কি মত?
গত মাস ছিল ২১ ফেব্রুয়ারির মাস, মাতৃভাষার জন্য লড়াই-এর মাস। এ লড়াই দৈনিক কারণ আমাদের আত্মপরিচিতি দৈনিক পাল্টায় না। অথচ এই ফেব্রুয়ারিতেই খোদ যাদবপুরে হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্তানের ঝটিকা বাহিনী সম্প্রতি যে হিংসাত্মক কার্যকলাপ চালালো, তার নেপথ্যে রয়েছে ভয়ংকর সংকেত। সেদিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের সাধারণ সভা বা জেনেরাল বডি মিটিং-এ এই একই গোষ্ঠী উন্মত্তভাবে "হিন্দি মে বোল " আস্ফালনে ছাত্র প্রতিনিধিদের বাংলা বন্ধ করে হিন্দিতে কথা বলতে বাধ্য করে এই যাদবপুরে, এই বাংলায়। এ লজ্জা আমরা রাখবো কোথায়? আমরা কখুনো হিন্দি বলয়ে এরকম কোন পরিস্থিতির কথা ভাবতে পারি? পারি না এবং সেটি কাম্য-ও না। কিনতু আমাদের বুঝতে হবে কেন এটা কলকাতায় বাংলাকে দমন করে হিন্দি চাপানো সম্ভব কিনতু হিন্দুস্তানের দিল্লিতে হিন্দিকে পাশে সরিয়ে তামিল বা বাংলা চাপানো সম্ভব না। আমাদের বুঝে নিতে হবে "বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য" বাণীতে ফাঁকিটা ঠিক কোথায়, কে রাজা আর কে প্রজা, কে প্রথম শ্রেণীর নাগরিক আর কে দ্বিতীয় শ্রেণীর, কেন শিয়ালদহ থেকে লক্ষ্মীকান্তপুর যাবার লোকাল ট্রেনের টিকিটে স্টেশনের নাম হিন্দিতে থাকে কিনতু বাংলায় থাকে না, কাদের স্বার্থে কাদের দালালি করতে হিন্দিকে রাষ্ট্রভাষা তকমা দিয়ে মিথ্যা প্রচার করা হয়। একুশে ফেব্রুয়ারী সুযোগ করে দেয় ভাবতে - আমরা মানে কারা, কেন আমার রাষ্ট্র আমার করের টাকায় অন্যের ভাষা প্রচার করে কিনতু আমারটা করেনা। আমাদের ভেবে দেখতে হবে যে আমাদের নিজের নিপীড়িত মাতা থাকতে বিমাতাকে পূজা করতেশেখায় যে রাষ্ট্র, সে রাষ্ট্র কার আর সে রাষ্ট্র কার নয়। আমরা পশ্চিম বাংলার বাঙ্গালী - বাংলার দেশের (বাংলাদেশ রাষ্ট্রের নয়) ভাঙ্গা পশ্চিম ভাগ। এই ভাষা আমাদেরও প্রাণের ভাষা, বেঁচে থাকার অবলম্বন, ভালবাসার মাধ্যম, পূর্বসুরীর স্মৃতি, উত্তরসুরীর উত্তরাধিকার, ব্রতের ভাষা- ধর্মের ভাষা-রাজনীতির ভাষা- ঘাম ঝড়ানো কর্মের ভাষা - প্রেমের ভাষা- ফোপানোর ভাষা - খোঁটার ভাষা - অপরাধের ভাষা- দাঙ্গার ভাষা-যৌনতার ভাষা -না বলা কথার ভাষা - ভুলে যাওয়া দিনের ভাষা - আগামীকালের ভাষা- শপথের ভাষা -মুক্তির ভাষা। আমরা বাঙ্গালী।
hajarduar | March 2, 2016 at 3:05 pm | Categories: Uncategorized

Monday 21 March 2016

তর্ক : তৃণমূল সিপিএম এবং ভণ্ডামী

Standard
শস, ফেচ্যা, ১৪/৩/২০১৬
আমাকে শুধু তৃণমুলিস্ট বলিস না, আমি বিজেপির ও ফর-এ। জয়ললিতারও ফর-এ। কারণ এদের ভণ্ডামি কম। বাকিদের বেশি। সিপিএম-কংগ্রেস ইত্যাদির মতো এরা ভেইল্ড দক্ষিণ নয়, স্পষ্ট দক্ষিণ।
মর
তৃণমূল ও বিজেপি কে তোমার ভন্ডামিহীন মনে হয় দেখে ভালো লাগছে। ওরা কিন্তু বাম্পন্থার হাব-ভাব নেওয়ার চেষ্টা করে। আর সিপিএম এরা প্রয়োজনে দক্ষিণপন্থী অবস্থান নেয়। ২০০৯, ২০১১ এর আগে যখন আমি সিপিএমের সমালোচনা করতাম, তখন তোমার সহানুভুতি পেত সিপিএম এবং কংগ্রেস। ২০১৪ র পার্লামেন্টারি ইলেকশানেও তুমি কংগ্রেসের ” সবাইকে নিজের মত স্বাধীন ভাবে চলার” নীতি নিয়ে প্রসংসা করতে শুনি। রাজনৈতিক ভাবনা অবশ্যই পরিবর্তনশীল। পুরনো অবস্থানকে বজায় রাখতে হবে সেটা বাধ্যতামূলক নই। কিন্তু সেটা ক্ষমতাকেন্দ্রিক একটা অবস্থান নিলে হিসেবে একটু এদিক ওদিক হয়ে যায় এই আরকি। টাকার জন্যে দুর্নীতি ও ক্ষমতার জন্য দুর্নীতি তোমার কাছে আগে একই ছিল। চকোলেট খেয়ে অনসনকে তুমি অসততা বলেছিলে। এখন কিন্তু মমতা চুড়ান্ত সৎ তোমার কাছে। আসলে সততার সংজ্ঞাতেও এমেন্ডমেন্ট আনা যায়।
শস
সৎ বলিনি, বলেছি তুলনায় কম ভণ্ড। আমার কথাকে সুবিধেমতো পাঞ্চিং ব্যাগের শেপ বানাস না। ওইসব দলাদলির খেলায় তুই আমাকে ভেড়াতে পারবি না, দলকে কাঠামোগত ভাবেই আমি অপ্রাসঙ্গিক মনে করি। খেয়াল কর, অপ্রাসঙ্গিক বলেছি, খারাপ বলিনি। সূক্ষতাগুলো নজর করলে খারাপ হবে না, ওগুলো বাদ দিলে যেটা পরে থাকে, সেটা কমন সেন্স।
ক্ষমতা আর বর্তমানে ক্ষমতাবান – এই দুটো জিনিস এক না। আমি চিরকালই ক্ষমতার ম্যানেজারের, অর্থাৎ ‘ক্ষমতাবান’ এর তুলনায়, যে ‘ক্ষমতাবান’ হতে চাইছে, তার ব্যাপারে বেশি ক্রিটিক্যাল। কেন, তার জন্য কথা বলা যেতে পারে। আমার যে লেখাটা তোকে পাঠিয়েছিলাম, তার মধ্যে এর ইঙ্গিত আছে।
ক্ষমতাকেন্দ্রিকতা ক্ষমতাবান হতে চাওয়ার মধ্যে বেশি থাকে। যে ক্ষমতাবান, তার সেটা ধরে রাখতে চাওয়ার তুলনায়।
যা ম্যানিফেস্টেড, তা অল্রেডি এক্সহস্টেড। রবীন্দ্রনাথেও আছে, তোমার আঘাত সাথে নেমে এলে তুমি, যেথা মোর আপনার ভূমি।
মর
তার মানে সমস্ত গণ আন্দোলন অসমর্থনযোগ্য, কারন প্রাই সবক্ষেত্রেই বর্তমান ক্ষমতাবানেদের চ্যালেঞ্জ করা হয় আর প্রায় সব ক্ষেত্রেই ক্ষমতাকেন্দ্রিকতা থাকে। মানুষের হাতে ক্ষমতার সম-বিভাজন তাই পরিহারযোগ্য। শাসক শ্রেনী সহানুভূতি পাওয়ার যোগ্য সবসময়। নাজি থেকে জারতন্ত্র, ঔপনিবেশিক শাসন থেকে রাজতন্ত্র সবই সমর্থন পাওয়ার দাবী রাখে। দলাদলীর রাজনীতিতে তোমাকে আনতেও চাই না। মমতা সম্পর্কে তুমি ‘অপেক্ষাকৃত’ কম ভন্ড কথাটা প্রয়োগ করনি (যদিও সেটাও কতটা সঠিক তা আলোচনা সাপেক্ষ)। তুমি মমতাকে একদম অনেস্ট ঘোষনা কর। সেটা দলীয় রাজনীতির সংস্রব এড়িয়ে যাওয়া নয়। সমর্থন ই করে। যাই হোক, তোমাকে পাঞ্চিং ব্যাগ করার কোন বিদঘুটে ইচ্ছে আমার নেই। যদি সেটা করা হয় তাহলে সেটা মুর্খামি। কিছুটা শ্রীজাত বা অনুপমকে আক্রমন করার মতই।
শস
১/ জন আন্দোলন মানুষের বাসনা থেকে হয়। বা ছোটো ছোটো বাসনা মিলে তৈরি হওয়া বাসনাতন্ত্রে দুর্যোগ ঘণীভূত হলে হয়। তাতে স্বভাবগত ভাবেই ক্ষমতা হস্তক্ষেপ করলে তা ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জের জায়গায় যায়। সেখানেও পাশ কাটানোর স্কোপ থাকে। ২/ ক্ষমতাবানকে চ্যালেঞ্জ জানানো আর পালটা ক্ষমতাবান তৈরি করার মধ্যে বিস্তর ফারাক আছে। উদাহরণ, কলরব আন্দোলন। তা পাল্টা ক্ষমতাবান বানানোর রাস্তায় হাঁটেনি। ৩/ আমি টিএমসিকে কম ভণ্ড বলেছি। যদি কখনো ভণ্ডামিহীন বলে থাকি, সেটা ঐ বিশেষ ইস্যুতে, সামগ্রিকভাবে নয়। এরকম বিশেষ ক্ষেত্রে সিপিএম ও আজকাল ভণ্ডামিহীন পজিশন নিচ্ছে। স্বাস্থ্যের লক্ষণ। যেমন, মোর্চা প্রার্থীদের একতরফা সাপোর্ট। সেটা আমি সমর্থন করছি কি না সেটা অন্য ব্যাপার, ওরা ভণ্ডামি করছে কি না সেটা বিষয়। আশা করি তুই পরে বলবি না – তুমি তো সিপিএমের মোর্চাকে সাপোর্ট সমর্থন করেছিলে। ৪/ তোর প্রজার ডিস্কোর্স টাতেই গণ্ডগোল আছে, কারণ, প্রজা আইডেন্টিটিটাই রাজা সাপেক্ষ। কোনো স্বাধীন আইডেন্টিটি নয়। ৫/ তুই যে তল থেকে রাজনৈতিক ব্যাপারগুলোকে দেখছিস, সেটা একেবারেই উপরিতল। মিডিয়া বাইট, স্লোগান, বক্তৃতা, এমনকি দলিল পরচা – এসব উপরিতল, রাজনীতিটা নির্মাণ হয় অনেক গভীরে, সমাজের মধ্যে, মানুষের দৈনন্দিনতায়।

তর্ক : জেএনইউ প্রসঙ্গে কেন কাশ্মীর আসছে

Standard
সচ, ফেচ্যা, ১৩/৩/২০১৬
ব্যাপারটাকে কাশ্মীরের দিকে নিয়ে গিয়ে একটা গণ্ডিতে বেঁধে দেওয়া হচ্ছে, ধরো আমাদের জিডিপি-র একটা বিরাট অংশ যাচ্ছে আর্মিকে ভর্তুকি দিতে। কাশ্মীরে যারা আছে, তারা হয়ত আর একটু বেশি পেতে পারে (আমার সেটা আইডিয়া নেই) তবে আমি যেটা দেখি যে কোনো জিনিসপত্র তারা অস্বাভাবিক কম দামে পেয়ে থাকে বা অনেকবেশি সুযোগ সুবিধা ভোগ করে। আলাদা কোতা থাকে সব ক্ষেত্রে। এবারে যারা বাইরে থেকে এসে সন্ত্রাস চালায় বোমা ফাটায়, বা অন্যান্য কাজগুলো করে, তাদের তো ডানা নেই যে উড়ে আসবে আর প্লেন থেকে প্যারাসুট এ করে কেউ নেমেছে এরকম নজির একটাই আছে পুরুলিয়া তে (সেটাও অস্ত্র)। কাজেই যারা আসে, তারা সীমানা পেরিয়েই আসে। সেখানে যাদের ডিউটি, তাহলে তাদের মৃত্যু বা অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতির জন্য সেই লোকগুলি দায়ী কেন হবে না?
শস
তোমার যুক্তি হয়ত ঠিক। কিন্তু তোমার কথার মধ্যে নিহিত আছে একটা ‘আমরা’। নিজের এই নিহিত আমরা, বা নিহিত আমি টাকে চিহ্নিত করা যেতে পারে। চেষ্টা করা যেতে পারে – এই নিহিত আমি বা আমরাটাকে বিলীন করে দিতে। কথায় এবং, আরো বেশি করে, চিন্তায়। একান্তই যদি না পারা যায়, তাহলে, খুব বাস্তব কিছু আমরা তৈরি করতে, যেমন – তুমি রেগুলার যাদের টাচ-এ থাকো, তারাই তোমার আমরা। ইত্যাদি। যদি নিহিত আমি বা আমরা বাদ দাও, তাহলে দেখবে, তোমার আমাদের ট্যাক্সের চেয়ে বেশি মন টানছে কাশ্মীরিদের প্লাইট। তখনই পাঠানকোটের আগে আসবে কাশ্মীর। তখনই সেনাদের ব্যার্থতার আগে আসবে তাদের স্বজনহীন জীবন।
সচ
হ্যাঁ তুমি ঠিক বলেছো, কোনোভাবে একটা আমরা কে মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয় পরে ওটাই চলতে থাকে। আর তাই চিনতাটা বায়াসড হয়ে যায়। সুমি দাস দের মিটিং এ বলছিল, এবার ওদের আন্দোলন জেন্ডার এর ওরা আমরা তুলে দেওয়া। কোনো আলাদা জেন্ডার থাকবে না। নাম এও থাকবে না। আর সেভাবে সেক্স ও হবে জেন্ডার নিরপেক্ষ।

টিপ্পনি- রাজনীতির তৃতীয় পরিসর



টিপ্পনি : রাজনীতির তৃতীয় পরিসর

Standard

শস, ন-ডি২০১৪, মসা
সাধারণভাবে রাজনীতিকে ক্ষমতাকেন্দ্রিক হিসেবে দেখতেই আমরা অভ্যস্ত। তবে একটু ভাবলেই আমরা বুঝতে পারি, ক্ষমতার অনেক প্রকারভেদ আছে। রাজনীতি যে ক্ষমতাটিকে নিয়ে ব্যস্ত হয়, তা রাজনৈতিক ক্ষমতা। তবে এই ক্ষমতাটি খুবই পরাক্রমী, তার সামনে অন্যান্য ক্ষমতা অনেক ম্লান।
রাজনৈতিক ক্ষমতা কী? সামাজিক মানুষের বিভিন্ন আশা-আকাঙ্ক্ষার ফারাকের ভারসাম্য রক্ষার পরাক্রম। সামাজিক মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার ফারাক অনেকটাই তৈরি হয় তার অবস্থান দিয়ে। লিঙ্গগত, জাতিগত, জাতগত, শ্রেণীগত, গোষ্ঠীগত, ধর্মগত অবস্থান, ইত্যাদি ইত্যাদি। প্রতিটি অবস্থান খুব সুনির্দিষ্ট এবং তা অন্যটি থেকে স্পষ্টভাবে আলাদা। এই অবস্থানজনিত আশা আকাঙ্ক্ষাগুলির দরকষাকষি এবং তার সমাধানের মাধ্যমে মূলত ওই অবস্থানগুলিকেই আরও দৃঢ় করা এক ধরনের রাজনীতি। এক্ষেত্রে ক্ষমতার আরেকটি অতিরিক্ত ভূমিকা আছে। তা এই ভারসাম্যের দেখভাল করে। ভারসাম্যটি রক্ষার জন্য রয়েছে যে হাতিয়ারগুলি, সেগুলির দেখভাল করে। এটাকেই আমরা বলি রাষ্ট্র। আর ভারসাম্য রক্ষার হাতিয়ারটি কখনও আপাতদৃষ্টিতে খুব উদার হয়, আবার কখনও তা খড়্গহস্ত। যখন যেমন প্রয়োজন তখন তেমন আর কি। এই রাজনীতির পরিসরটি প্রথম পরিসর। এই রাজনীতি সামাজিক বিভাজনগুলিকে দুর্বল করে না, বরং বিভাজনগুলি ঠিকঠাক থাকার মধ্যেই এই রাজনীতির সার্থকতা, কারণ কেবল তাহলেই ‘ভারসাম্য রক্ষা করা’র কাজটি প্রাসঙ্গিকতা পায়।
তবে রাজনীতির এই প্রথম পরিসর স্থিতিমূলক। কিন্তু সমাজ তো প্রাণবন্ত, কম্পনশীল। তাই তা সদাসর্বদা নতুন নতুন অবস্থানের জন্ম দেয়। আবার হয়তো মিলিয়েও যায়। অনেক সময়ই তা চিরাচরিত অবস্থানগুলিকেও এমনকী আড়াআড়ি ভেঙে দিতে পারে। আবার কখনো তা চিরাচরিত অবস্থানগুলির মধ্যেই কোনোটির অনুরূপ কিছু, কিন্তু চিরাচরিত নয়, গজিয়ে ওঠা (যেমন শ্রেণীগত বিভাজনের মধ্যে বিত্তগত বিভাজন বা উপার্জনগত বিভাজন)। নয়া অবস্থান নয়া আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আসে। তা প্রথম পরিসরের দরকষাকষিকে প্রশ্ন করে। ফলে ভারসাম্যের চালু রূপটিকে প্রশ্ন করার মাধ্যমে নয়া রূপ দাবি করতে থাকে। এ এক বিরোধিতার পরিসর। সমাজের প্রাণবন্ততা, কম্পনশীলতার সঙ্গে তার অঙ্গাঙ্গী যোগ। চিরাচরিত বিভাজনগুলিকে অস্বীকার করে নয়া বিভাজিকা নির্মাণে এর ঝোঁক। আমরা একে বলছি রাজনীতির দ্বিতীয় পরিসর।
উপরোক্ত দুটি পরিসরই সামাজিক বিভাজন এবং তাদের মধ্যেকার ভারসাম্যের রাজনীতির পরিসর। যেন দুইয়ে মিলিয়ে এক বৃহত্তর পরিসর — বিভাজনের বাস্তবতা বা আবশ্যকতা এবং তাদের মধ্যেকার ভারসাম্যের প্রয়োজনীয়তা — এটাই নির্মাণ করে এই রাজনীতির বৃহত্তর পরিসরটি। তাই এই দুটি পরিসরই বাস্তব পরিসর।
সমাজে রাজনীতি বলতে মূলত এই দুটি পরিসরকেই বোঝায়।
তবে রাজনীতির আরেকটি পরিসরও রয়েছে। আমরা তাকে তৃতীয় পরিসর বলছি। মানুষ তার সৃষ্টিশীলতার কারণেই নতুন নতুন অবস্থান তৈরি করে। ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র সেই নতুন অবস্থানগুলি তার যাবতীয় আশা-আকাঙ্ক্ষা, কামনা, বাসনা নিয়ে হাজির হয়। এই অবস্থানগুলি বিভাজনগুলিকে গুরুত্ব দেয় না। সমস্ত রকম সামাজিক বিভাজনের মধ্যে মধ্যে উজিয়ে ওঠা এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র, কিন্তু অসীম সংখ্যক অবস্থান সামাজিক বিভাজনগুলিকে আবছা করে। তার ফলশ্রুতিতে ভারসাম্যের প্রয়োজনীয়তাকেও লঘু করে। কিন্তু এগুলি নিজেরা এতই ক্ষুদ্র যে কিছুতেই সেগুলি নিজে কোনো বিভাজিকা হয়ে ওঠে না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই একক ক্ষুদ্র অবস্থান ক্ষণস্থায়ী এবং তা মিলিয়ে যায়। কখনো কখনো প্রথম পরিসরের মধ্যে এসে যায় তার কুশীলবরা। কখনো কখনো কোনো কোনো ক্ষুদ্র অবস্থান কম্পনশীল সমাজের বদান্যতায় দ্বিতীয় পরিসরের অবস্থানে সরে যেতে পারে। তখন আর তাকে পৃথক অবস্থান হিসেবে দেখা যায় না। আবার অন্য কোথাও গজিয়ে ওঠে আরেকটি একক অবস্থান। কিন্তু দুনিয়া জুড়ে এইরকম ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অসংখ্য অবস্থানই তৈরি করে রাজনীতির তৃতীয় পরিসরটি — যার একক অবস্থানগুলি সতত জন্মাচ্ছে আবার বিলীন হয়ে যাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই এই পরিসরটি এতই বিচিত্র এবং এর একক অবস্থানগুলি এতই দুর্বল ও ক্ষণস্থায়ী, যে এর কোনো প্রতিনিধিত্ব হয় না (কিন্তু অন্য দুটি পরিসরে হয়, কারণ তা বিভাজনমূলক অবস্থানের পরিসর)।
বিভাজন না থাকা, ভারসাম্য না থাকা, প্রতিনিধি না থাকার কারণে প্রায়শই এই পরিসরটিকে রাজনীতির পরিসর বলে মনে হয় না। সমাজও একে রাজনীতির পরিসর হিসেবে বুঝতে পারে না। রাজনীতির সামাজিক ধারণার প্রকোপে এই পরিসরের অবস্থানগুলিও নিজেদের রাজনীতির পরিসর বলে বুঝতে পারে না। কিন্তু যেহেতু এই পরিসরটি সামাজিক বিভাজনকে ঝাপসা করে দেয় বা হালকা করে দেয়, ভারসাম্যর প্রয়োজনীয়তাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দেয়, প্রতিনিধিত্বকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দেয় — তাই এই পরিসরটি অবশ্যই একটি রাজনীতির পরিসর।
তবে এই পরিসরটি সম্পূর্ণভাবে কল্পিত বা বানিয়ে তোলা পরিসর নয়। মানুষের সৃষ্টিশীলতা এই অবস্থানগুলির উৎস হলেও সমাজের স্থিতি এবং কম্পনশীলতা নিরপেক্ষ নয় এ পরিসর। যত দিন যাচ্ছে, তত বোঝা যাচ্ছে, এই পরিসর একটি ঘোরতর বাস্তবতা। এই পরিসরটির আত্মোপলদ্ধির মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে এর প্রতিরোধ। এই প্রতিরোধ অন্য পরিসরগুলোতে বা অন্য কোনো কিছুতে উপনীত হওয়ার নয়, বরং বিভাজনগুলি থেকে মুক্তির।
মানুষের সৃষ্টিশীলতা এই পরিসরের অন্যতম উৎস হওয়ার কারণেই আপাতদৃষ্টিতে মনে হয়, যেন বা সমাজের সঙ্গে সম্পর্কচ্যুত, অবাস্তব পরিসর। কিন্তু আদপে এই পরিসর সমাজের সঙ্গে সম্পর্কচ্যুত নয়, বরং সমাজের বৈচিত্র্যের সর্বোচ্চ বহিঃপ্রকাশ মাত্র। এটি কোনো শিল্পকলা (আর্ট) নয়। তবে অনেকসময়ই এই পরিসরের একক অবস্থানগুলির ক্ষণস্থায়িত্ব, দুর্বল অবস্থা এবং যে কোনো
জায়গায় গজিয়ে ওঠা, অর্থাৎ সমাজের বৈচিত্র্যের সর্বোচ্চ বহিঃপ্রকাশকে, ভুল করে শিল্পকলা (আর্ট) অথবা সমাজবিচ্ছিন্নতা বলে মনে হয়।
এই তৃতীয় পরিসর মাইক্রোফ্যাসিজম এবং আত্মঘাতী প্রবণতা মুক্ত নয়। মাইক্রোফ্যাসিজম অর্থাৎ ক্ষুদ্র পরিসরেও যে ফ্যাসিবাদ কাজ করে, ক্যানসারের মতো, দ্রুত ধ্বংস ডেকে আনে। আত্মঘাতী প্রবণতা মাইক্রোফ্যাসিজমের মতোই, আত্মধ্বংসকারী।
সমাজজীবনে অন্তর্লীন রাজনীতির তৃতীয় পরিসর। উল্লেখ্য, পুঁজিবাদও সমাজে অন্তর্লীন একটি ব্যবস্থা।

অপর বা ফারাকের দরশন শমীক সরকার

ফারাকের  দর্শন 
দার্শনিক জিল দেল্যুজের লেখা ‘দিফেরঁস এ রেপিতিশিঁও’ (ফারাক এবং পুনরাবৃত্তি) প্রকাশিত হয় ১৯৬৮ সালে। ফ্রান্স তখন উত্তাল মে ৬৮ আন্দোলনে। প্রকাশিত হওয়ার সময়ই ফ্রান্সে সারা ফেলে বইটি। দেল্যুজের এই বইটির ইংরাজি অনুবাদ হয় ১৯৯৪ সালে। দেল্যুজ মারা যান ১৯৯৫ সালে। ইংরাজি অনুবাদের মুখবন্ধে তিনি লিখেছিলেন, এই বইটিই তার লেখা দর্শনের প্রথম বই। এর আগে যে বইগুলো তিনি লিখেছিলেন, সেগুলো মূলত দর্শনের ইতিহাস বই। আর এর পরবর্তীতে তিনি যা যা লিখেছেন, এমনকি গুয়াত্তারির সঙ্গেও যা যা লিখেছেন, সবই এই বইটির সঙ্গে সংযুক্ত। সেদিক দিয়ে দেখলে, দেল্যুজের নিজের জবানেই, এই বইটা হলো দার্শনিক দেল্যুজের মূল দর্শন — দেল্যুজের নিজের ভাষায়, ফারাকের দর্শন।আমরা যারা পশ্চিমবাংলায় রাজনীতি ও সমাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত আছি কোনো না কোনো ভাবে, তাদের কেউ কেউ বেশ কিছুদিন ধরেই উপলদ্ধি করছি, আমাদের এখানকার রাজনীতি এবং সমাজকর্মে রাজনৈতিক দর্শন বেশ মান্ধাতার আমলের। ঋষি অরবিন্দ, মহাত্মা গান্ধী, আম্বেদকর থেকে শুরু করে কার্ল মার্ক্স, মাও জে দং — রাজনৈতিক দর্শনের চৌহদ্দিতে এদের কেউ স্বয়ংসম্পূর্ণ, কেউ বা খণ্ডিত — কিন্তু এদের দিয়ে কি সমসাময়িক পারিপার্শ্বিককে মোকাবিলা করা যাচ্ছে?
গত শতাব্দীর শেষভাগে মিশেল ফুকো যাকে নিয়ে বলেছিলেন, ‘একদিন এই শতাব্দীকে বলা হবে দেল্যুজিয়ান’, সেই জিল দেল্যুজের দর্শন সমসাময়িক পারিপার্শ্বিককে অনেকটাই ছুঁতে পারে। জিল দেল্যুজের মূল দর্শনের বইটির কিছু অনুবাদ, ব্যাখ্যা এবং তার সূত্র ধরে আমাদের সক্রিয়তার পরিসরের বিভিন্ন দিকগুলোর সমালোচনার মাধ্যমে সমসাময়িক এবং অদূর ভবিষ্যতে সমাজকর্মীদের রাজনৈতিক দর্শনের অভাব মেটানোর দিকে কিছুটা এগোনো যেতে পারে। সেই লক্ষ্যেই এই ব্লগ। দেল্যুজের ভাষা ধার করে বলা যেতে পারে, দেল্যুজের ফারাকের দর্শন যদি একটি ভার্চুয়াল আইডিয়া হয়, তবে আমাদের সমসাময়িক ও আশু ভবিষ্যতের সমাজকর্মের সময়-পরিসরে এই ব্লগটি সেটার অ্যাকচুয়ালাইজেশন করার চেষ্টা। একটি রাজনৈতিক দর্শন তৈরির চেষ্টা।
প্রসঙ্গত বলে রাখা ভালো, সত্তর ও আশির দশকে স্বয়ং দেল্যুজ বন্ধুবর গুয়াত্তারিকে সঙ্গে নিয়ে দুই খণ্ডে একটি রাজনৈতিক দর্শনের বই লিখেছিলেন, ‘কাপিতালিজম এ সিজোফ্রেনি : আঁতি-এদিপ’ ও ‘কাপিতালিজম এ সিজোফ্রেনি : মিল প্লাতো’। এ দুটো বই-ই বেশ বিখ্যাত।
এই উদ্যোগের সম্বন্ধে বিশদে জানতে যোগাযোগ করুন :  9674486426 (শমীক) এই নাম্বারে।