Monday 21 March 2016

তর্ক : জেএনইউ প্রসঙ্গে কেন কাশ্মীর আসছে

Standard
সচ, ফেচ্যা, ১৩/৩/২০১৬
ব্যাপারটাকে কাশ্মীরের দিকে নিয়ে গিয়ে একটা গণ্ডিতে বেঁধে দেওয়া হচ্ছে, ধরো আমাদের জিডিপি-র একটা বিরাট অংশ যাচ্ছে আর্মিকে ভর্তুকি দিতে। কাশ্মীরে যারা আছে, তারা হয়ত আর একটু বেশি পেতে পারে (আমার সেটা আইডিয়া নেই) তবে আমি যেটা দেখি যে কোনো জিনিসপত্র তারা অস্বাভাবিক কম দামে পেয়ে থাকে বা অনেকবেশি সুযোগ সুবিধা ভোগ করে। আলাদা কোতা থাকে সব ক্ষেত্রে। এবারে যারা বাইরে থেকে এসে সন্ত্রাস চালায় বোমা ফাটায়, বা অন্যান্য কাজগুলো করে, তাদের তো ডানা নেই যে উড়ে আসবে আর প্লেন থেকে প্যারাসুট এ করে কেউ নেমেছে এরকম নজির একটাই আছে পুরুলিয়া তে (সেটাও অস্ত্র)। কাজেই যারা আসে, তারা সীমানা পেরিয়েই আসে। সেখানে যাদের ডিউটি, তাহলে তাদের মৃত্যু বা অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতির জন্য সেই লোকগুলি দায়ী কেন হবে না?
শস
তোমার যুক্তি হয়ত ঠিক। কিন্তু তোমার কথার মধ্যে নিহিত আছে একটা ‘আমরা’। নিজের এই নিহিত আমরা, বা নিহিত আমি টাকে চিহ্নিত করা যেতে পারে। চেষ্টা করা যেতে পারে – এই নিহিত আমি বা আমরাটাকে বিলীন করে দিতে। কথায় এবং, আরো বেশি করে, চিন্তায়। একান্তই যদি না পারা যায়, তাহলে, খুব বাস্তব কিছু আমরা তৈরি করতে, যেমন – তুমি রেগুলার যাদের টাচ-এ থাকো, তারাই তোমার আমরা। ইত্যাদি। যদি নিহিত আমি বা আমরা বাদ দাও, তাহলে দেখবে, তোমার আমাদের ট্যাক্সের চেয়ে বেশি মন টানছে কাশ্মীরিদের প্লাইট। তখনই পাঠানকোটের আগে আসবে কাশ্মীর। তখনই সেনাদের ব্যার্থতার আগে আসবে তাদের স্বজনহীন জীবন।
সচ
হ্যাঁ তুমি ঠিক বলেছো, কোনোভাবে একটা আমরা কে মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয় পরে ওটাই চলতে থাকে। আর তাই চিনতাটা বায়াসড হয়ে যায়। সুমি দাস দের মিটিং এ বলছিল, এবার ওদের আন্দোলন জেন্ডার এর ওরা আমরা তুলে দেওয়া। কোনো আলাদা জেন্ডার থাকবে না। নাম এও থাকবে না। আর সেভাবে সেক্স ও হবে জেন্ডার নিরপেক্ষ।

No comments:

Post a Comment