Saturday 17 October 2015

৭১ নিয়ে জানার অনেক কিছু এখনও অজানা ।
===============================
/"....... উলঙ্গ মেয়েদেরকে গরুর মত লাথি মারতে মারতে, পশুর মত পিটাতে পিটাতে উপরে হেডকোয়ার্টারে দোতলা, তেতলা ও চারতলায় উলঙ্গ অবস্থায় দাঁড় করিয়ে রাখা হতো।
পাঞ্জাবী সেনারা চলে যাওয়ার সময় লাথি মেরে আবার কামরার ভিতর ঢুকিয়ে তালা বদ্ধ করে রাখতো।
বহু যুবতীকে হেডকোয়ার্টারের ওপরের তলার বারান্দায় মোটা লোহার তারের ওপর চুল বেধেঁ ঝুলিয়ে রাখা হতো।
পাঞ্জাবীরা সেখানে নিয়মিত যাতায়াত করতো।
... এসে ঝুলন্ত উলঙ্গ যুবতীদের কোমরের মাংস বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে রক্তাক্ত করতো; কেউ তাদের বক্ষের স্তন কেটে নিয়ে যেত; কেউ হাসতে হাসতে তাদের যোনিপথে লাঠি ঢুকিয়ে দিয়ে বিকৃত আনন্দ উপভোগ করতো;কেউ ধারালো চাকু দিয়ে কোন যুবতীর পাছার মাংস আস্তে আস্তে কাঁটতো; কেউ চেয়ারে দাঁড়িয়ে উন্নত বক্ষ নারীদের স্তনে মুখ লাগিয়ে ধারালো দাঁত দিয়ে স্তনের মাংস কামড়ে তুলে নিয়ে আনন্দে অট্টহাসি করতো!!কোনো মেয়ে এসব অত্যাচারে চিৎকার করলে তার যোনিপথে লোহার রড ঢুকিয়ে দিয়ে তৎক্ষণাৎ হত্যা করা হতো। প্রতিটি মেয়ের হাত পিছনের দিকে বাধা থাকতো। মাঝে মাঝে পাকিস্তানি সৈন্যরা সেখানে এসে উলঙ্গ ঝুলন্ত মেয়েদেরকে এলোপাতাড়ি বেদম প্রহার করতো। প্রতিদিনের এমন বিরামহীন অত্যাচারে মেয়েদের মাংস ফেটে রক্ত ঝরছিল; কারও মুখেই সামনের দিকে দাঁত ছিল না; ঠোঁটের দুদিকের মাংস কামড়ে এবং টেনে ছিড়ে ফেলা হয়েছিল; লাঠি ও লোহার রডের বেদম পিটুনিতে মেয়েদের আঙুল, হাতের তালু ভেঙে থেঁতলে ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছিল! এসব অত্যাচারিত ও লাঞ্ছিত মেয়েদেরকে প্রসাব পায়খানা করার জন্যেও হাত ও চুলের বাঁধন খুলে দেয়া হতো না। এমন ঝুলন্ত আর উলঙ্গ অবস্থাতেই তারা প্রসাব পায়খানা করতো। আমি প্রতিদিন সেখানে গিয়ে এসব পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতাম....."/
- সুইপার রাবেয়া, ৭১ এর অভিজ্ঞতা বর্ননায়!
/"..... মেয়েদের কারও লাশের স্তন পাইনি, যোনিপথ ক্ষত-বিক্ষত এবং পিছনের মাংস কাটা দেখেছি। মেয়েদের লাশ দেখে মনে হয়েছে - তাদের হত্যা করার পূর্বে স্তন জোরপূর্বক টেনে ছিঁড়ে নেয়া হয়েছে, যোনিপথে বন্দুকের নল বা লোহার রড ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে‌......."/
- ঢাকা পৌরসভার ছন্নুডোম, ২৯ মার্চের অভিজ্ঞতা বর্ননার অংশবিশেষ!
/"..... পাঞ্জাবী, বিহারী ও পশ্চিম পাকিস্থানী পুলিশ জিভ চাটতে চাটতে ট্রাকের সামনে এসে মেয়েদের টেঁনে হিঁচড়ে নামিয়ে নিয়ে তৎক্ষণাৎ কাপড় চোপড় খুলে নিয়ে উলঙ্গ করে আমাদের চোখের সামনেই মাটিতে ফেলে কুকুরের মত ধর্ষণ করতো।... সারাদিন নির্বিচারে ধর্ষণ করার পর বিকালে পুলিশ হেডকোয়ার্টার বিল্ডিং এর ওপর উলঙ্গ করে লম্বা লোহার রডের সাথে চুল বেধে রাখা হতো।
রাতে এসব নিরীহ বাঙালী নারীর ওপর অবিরাম ধর্ষণ চালানো হতো। গভীর রাতে মেয়েদের ভয়াল চিৎকারে ঘুম ভেঙে যেত।
ভয়ংকর, আতঙ্কিত আর্তনাদ ভেসে আসতো- ‘বাঁচাও, আমাদের বাঁচাও, পানি দাও,একফোঁটা পানি দাও, পানি... পানি....’!!!"/
- রাজারবাগ পুলিশ লাইনের আর্মস্ এসআই, বিআরপি সুবেদার খলিলুর রহমান!
[উৎস: বই:: ১) মুক্তিযুদ্ধের দলিলপত্র
২) বীরাঙ্গনা ১৯৭১ -মুনতাসীর মামুন]
স্তন দেখে কিংবা স্তনের ছায়াকাশ দেখে আপনার যদি শিশ্নানুভুতি জাগে,তবে জেনে রাখুন আপনি একটা মানসিক বিকারগ্রস্থ রোগী।নারীর স্তন তার অন্যান্য দেহাবয়বের মতই স্বাভাবিক একটা অঙ্গ।প্রত্যেকের জীবনে শৈশবে প্রথম যে বস্তুটি তারই অধর-ওষ্ঠ গলে মুখে প্রবেশের মাধ্যমে বাঁচার রসদ হয়েছিল সেটা কোন এক নারীরই স্তন।আপনার ভবিতব্য সন্তানের জীবনের প্রথম অভিজ্ঞান রচিত হবে কোন এক নারীর স্তনবৃন্তের ছোঁয়ায়।স্বাভাবিকতাকে অস্বাভাবিক ভেবে নিজেকে হাস্যকর বানাবেন না। 

No comments:

Post a Comment