মাতৃভাষার
অধিকার ,
১৯
শে মে-র
শিক্ষা/
পার্থ
বসু
স্বীকার
করতে দ্বিধা নেই,
চাকরি
জীবনে রাজ্যের বাইরে যখন
দ্বিতীয় দফায় বদলী হয়ে শিলচরে
যেতে হয়েছিল ,
ক্ষুব্ধ
হয়েছিলাম। এটি দ্বিতীয় দফা
উত্তর পূর্বাঞ্চলের বদলী।
আগে বিহার রাজ্যেও প্রায় পাঁচ
বছর ছিলাম। আশা করেছিলাম অন্তত
গৌহাটি পোস্টিং পাব। কলকাতা
থেকে যাতায়াত সহজ হত। শিলচরে
এসে অবাক হয়েছিলাম--
এ
তো আরেক বাংলা। আমার পশ্চিম
বাংলার থেকেও অনেক বেশী বাংলা।
বাংলাই।
ভাগ্যিস
শিলচরে এসেছিলাম। তাই না ভাষা
শহীদের স্মৃতিবাহী তীর্থ
দর্শন হল। ভাগ্যিস !
স্বীকার
করতে দ্বিধা নেই,
বাংলায়
এতো সাইন বোর্ড কোলকাতাতেই
দেখা যায় না। আর আমার অফিসের
যে অধস্তন কর্মী ক্যাশ পিওনের
কাজ করত প্রায় ছ'মাস
পরে জেনেছিলাম ছেলেটি আদিতে
ছাপরার। এতো নিখুঁত সিলেটী
বুলিতে কথা বলতো !
কোলকাতার
মাড়োয়ারি ব্যবসার স্বার্থে
যেটুকু বা বাংলা বলতেন আগে,
এখন
তারও প্রয়োজন হচ্ছে না,
তার
নমুনা--
কি
বাসুবাবু ,কেমোন
আছেন ?
জবানে
হিন্দি টান। এখানে তা নয়।
এখানে মাটির ভাষা তারা আত্মস্থ
করেছেন। উচ্চারনেও বিকৃতি
নেই। অসমীয়া সাহিত্যের অন্যতম
পুরোধা পুরুষ তো একজন মাড়োয়ারিই।
জ্যোতি প্রকাশ আগরওয়াল।
কথাগুলি
এ জন্যেই বলা,
কোলকাতা
না হয় একটি কসমোপলিটান শহর।
এককালে ভারতের রাজধানী। অখণ্ড
ভারতের।
কোলকাতার
বাইরে বাংলার গ্রামে গঞ্জে
মফস্বল শহরে ,
নানা
জেলা শহরে ,
তাঁরা
বাংলা ভাষা নিজের বলেই গ্রহণ
করেছিলেন। আমার স্কুলের বেশ
কিছু সহপাঠী ছিল মাড়োয়ারি।
তারা বাংলা স্কুলে বাংলা
মাধ্যমেই পড়াশুনা করেছে।
এখন
পশ্চিমবঙ্গে পরিস্থিতি ঠিক
বিপরীত। ইংরেজি আর হিন্দি
মাধ্যমের স্কুল দ্রুত বিস্তার
পেয়েছে। গ্রামেও। সেখানে এমন
কি বাঙালীর ছেলেও বাংলা পড়ছে
না। পড়ছে ইংরেজি আর হিন্দি।
আমি
মাড়োয়ারির ছেলেটি তার মাতৃভাষায়
পড়ার সুযোগ পাচ্ছে এতে আনন্দিত।
কিন্তু এই মাটির ভাষা যে
বাংলাভাষা তা অবহেলিত হবে
কেন ?।
ভারতের যে কোন রাজ্যে '
সন
অব দি সয়েল '
এই
তকমাটি পেতে হলে ,
সরকারী
চাকরি পেতে হলে অন্তত স্কুলস্তরে
রাজ্যের ভাষাটি শেখা বা শেখানো
হয়েছে মার্কশীট সহ তার প্রমান
দাখিল করতে হয়। আগ্রহী জন
ওয়েবসাইট থেকে ভারতের বিভিন্ন
রাজ্যের সরকারী চাকরি পাওয়ার
শর্তগুলি দেখে নিন। পশ্চিমবাংলা
ব্যতিক্রম। এখানে বাংলা জানি
এই বিবৃতি যথেষ্ট। আমারা কেন
চাইব না বাংলাভাষা শিক্ষা
বাংলায় বসবাসকারী যে কোন
প্রদেশের মানুষের জন্য আবশ্যিক
হোক ?
সরকারী
কাজকর্মে বাংলার ব্যবহার
আবশ্যিক হোক ?
আমাদের
দুর্ভাগ্য বা দুর্বলতা ভগ্ন
দেশে ভগ্ন দশায় ভাষার অধিকারের
মৌলিক প্রশ্নটিকে আমাদের
নেতারা এড়িয়ে গেছিলেন। যে
নেতৃত্ব সমূহ বাঙালী ,
তামাম
ভারতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা
বাঙালী ,
কোলকাতার
কাছে প্রত্যাশা করেছিল আমরা
সেখানে নিদারুণ ব্যর্থ। এখানে
বাম বা ডানে তফাৎ নেই। এখানে
বিধান রায়ের মত শ্রদ্ধেয় এবং
জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রীও ভাষার
প্রশ্নে বাঙালী জাতীয়তার
প্রশ্নে কোন দিশা দেখানো দূরের
কথা ,
তিনি
বাংলা বিহার সংযুক্তিপ্রস্তাবে
সায় দিয়েছিলেন। আন্দোলন করে
যা রুখতে হয়েছিল।
দুদিন
আগে সদ্য প্রয়াত প্রাক্তন
তৃণমূল কাউন্সিলর ফরজানা
আলমের দাদা এ বি পি আনন্দকে
সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন।
খিদিরপুরের লোক। একবারের
জন্য বাংলা বলতে শুনলাম না।
কেউ বলতেই পারেন উর্দু বাংলার
দ্বিতীয় রাজভাষা। উনি অন্যায়
কিছু করেন নি। উর্দু কেন আমাদের
দ্বিতীয় রাজভাষা আমার আপত্তি
সেখানেই। উর্দু একটি ভারতীয়
ভাষা। উন্নত ভাষা। সন্দেহ
নেই। আমার প্রশ্ন উর্দুকে
রাজভাষার সম্মান দিয়ে নেতারা
সাম্প্রদায়িক তাস খেলেছেন।
বাংলায় উর্দুভাষী মুসলমান
সমগ্র বাঙালী মুসলমানের
প্রতিনিধি নন। কয়েক লক্ষ
উর্দুভাষী আছেন বড় জোর। কয়েক
কোটি বাঙালী মুসলমানের মাতৃভাষা
বাংলা। এই পদক্ষেপে নেতারা
উর্দুভাষী আর বাঙালী মুসলমানকে
এক ব্র্যাকেটে আনলেন। বাংলার
মুসলমানের বৃহত্তর সংখ্যাই
বাঙালী ,
এবং
উর্দুর রাজকীয় সম্মানে তাদের
কিছু যায় আসে না এটা বোঝার
চেষ্টাই করলেন না। সংখ্যার
বিচারে বরং দ্বিতীয় রাজভাষার
মুকুট প্রাপ্য ছিল সাঁওতালীর।
যে ভাষার কাছে বাংলা ভাষা তার
পুষ্টি পেয়েছে।
তার
ব্যকরণ ,
ছন্দ,
শব্দভাণ্ডার
অস্ট্রিক ভাষাগোষ্ঠীর থেকেই
বিপুল বিপুল ভাবে আহরিত।
নির্মিত। খণ্ডিত বৃহত্তর
বাংলা যেখানে জোর করে উর্দু
চাপানোর বিরোধিতায় ভাষা
আন্দোলনের পথে নেমে প্রাণ
দিয়ে বাংলা ভাষার মর্যাদা
প্রতিষ্ঠাই শুধু নয় ,
একটি
নতুন জাতিসত্তা ,
নতুন
বাংলাদেশের জন্ম দিলেন ;
অবশিষ্ট
বাংলায় এপারে উর্দুর হাত ধরেই
হিন্দি আধিপত্য বাদ কায়েম
করছে । আমরা দেখেও দেখছি না।
উদাসীন। এপারেও আমাদের মাতৃভাষা
বাংলা একইভাবে বিপন্ন। কোণঠাসা।
ভাষা জাতীয়তার একটি বলিষ্ঠ
অসাম্প্রদায়িক একক। এখানেও
জরুরী একটি ভাষা আন্দোলন। যা
ভাষার টানেই হিন্দু বৌদ্ধ
ক্রিশ্চান মুসলমানকে এক তারে
বাঁধবে।
সুখের
কথা ১৯ শে মে নিয়ে সচেতনা ক্রমে
বাড়ছে। গত কয়েক বছর ধরেই শুধু
একুশের অনুষ্ঠান নয় উনিশে মে
পালিত হচ্ছে পশ্চিম বাংলার
নানা শহরে। জেলা শহরে। গ্রামেও।
আজ ১৭ মে কোলকাতায় আগামী ১৯
শে মে-র
স্মরনে সভা রয়েছে। এঁরা কাজ
করছেন ভাষার স্বাতন্ত্র ,
জনগোষ্ঠীর
স্বাধীনতা নিয়ে। এঁদের শ্লোগান--
“ আমি
চাই সাঁওতাল তার ভাষায় বলবে
রাষ্ট্রপুঞ্জে ”। ১৯ শে মে-র
ভাষা আন্দোলনের যে শিক্ষাটি
এখানে অনুশীলন ও চর্চার দাবি
রাখছে একটু বিস্তারে বলি।
আমি যা অনুভব করেছি।
একুশের
প্রেরণাতেই উনিশ। একুশের
আন্দোলনে অর্জনের মহিমা।
উনিশ সেখানে বাঙালীর একটি
স্বতন্ত্র রাজ্য বা স্বশাসিত
ভূখণ্ডও পায় নি। যেটুকু অধিকার
বরাকে বাংলাভাষার জন্য এগারো
শহীদের প্রাণের মূল্যে আদায়
করেছিল তা এখনও অসমীয়া
সম্প্রসারণবাদের আগ্রাসন
মুক্ত নয়। অথচ গণভিত্তির
প্রশ্নে ১৯শে মে-র
ভাষা আন্দোলনে শুধু ছাত্র
নয়,
সমাজের
সব স্তরের নানা বয়সের নানা
পেশার মানুষ সম্পৃক্ত ছিলেন।
যখন শিলচরে ছিলাম দেখেছি রেল
স্টেশনে শিলচর নামটি বাংলায়
উৎকীর্ণ আছে। জানি না এখনও
তাই ?
সংশয়ের
কারণ ,
রেল
তো কেন্দ্রীয় সরকারের। টেলিফোনও
তাই। শিলচরে দিলীপ বা তমোজিত
চেনা কাউকে ফোন করলে ,
ধরা
যাক লাইন পাচ্ছি না ,
যান্ত্রিক
কণ্ঠে জানানো হয় – লাইনটু
ব্যস্ত আছে। ঘন্টেক পিছতে--
ব্যস্ত
হ্যয়। থোড়া টাইম বাদ---।
অসমীয়া আর হিন্দিতে। বাংলা
! অসমীয়া
তো বরাকের রাজভাষা নয়।
পাঠ্যপুস্তকে অসমীয়া সিনট্যাক্সে
বাংলা শেখানো হচ্ছে। শ্রদ্ধেয়
বিজিত ভট্টাচার্য এ বিষয়ে
বিস্তৃত লিখেছেন। তা বিদ্বদজনের
দৃষ্টিও আকর্ষণ করেছে।
ভাষাভিত্তিক
রাজ্য পুনর্গঠনের যে প্রক্রিয়াটি
দেশভাগের পর সম্পন্ন হয়েছে
তার আওতায় না এসে,
পড়ে
পাওয়া ব্রিটিশ উত্তরাধিকারের
আসাম নামটির সুবাদে,
অসমীয়ারা
বহুবারের মতই সম্প্রতি আবার
সংখ্যালঘু ভাষাগোষ্ঠীর
বিরুদ্ধে অস্ত্র শানাচ্ছে।
১৯ শে মে-র
চেতনা বাঙালীকে এই আত্মপরিচয়ের
সংকট থেকে উত্তীর্ণ করুক।
বিদ্বেষের শিকার হচ্ছেন বিশেষ
করে সংখ্যালঘু বাঙালীরা।
ধর্ম পরিচয়ে যাদের অনেকেই
মুসলমান। উন্মত্ত জনরোষ থেকে
কাছাড়ের যে হতভাগ্য যুবক
কিছুদিন আগেই ডিমাপুরে অক্ষম
প্রশাসনের চোখের সামনে নিহত
হলেন ,
প্রাথমিক
খবরে তাকেও বাংলাদেশ থেকে এ
দেশে অনুপ্রবেশকারী বলা
হয়েছিল। পরে দেখা যায় ওই
পরিবারের সদস্য ভারতীয়
সেনাবাহিনীকেও সেবা দিয়েছেন।
কোচবিহার সন্নিহিত গোয়ালপাড়া
থেকে বাংলাভাষা সংস্কৃতি
কিভাবে হিংস্র ভাবে মুছে দেওয়া
হয়েছিল তা আজ ইতিহাস। ওই অঞ্চলের
তরুণ প্রজন্মের জন্যই সদর্থে
'ঘর-ওয়াপসী'
প্রয়োজন।
বাংলাভাষার পুনঃপ্রতিষ্ঠা
প্রয়োজন।
১৯
শে মে ভাষা শহীদ দিবসে যে যার
মাতৃভাষার রক্ষা ও বিকাশ
আমাদের ব্রত হোক। ব্রত কথাটির
যে লোকায়ত পরিসর তাতে স্থান
সংকুলান না হওয়ায় ব্রতের জন্য
যা করনীয় অর্থাৎ যাহাই ব্রাত্য
তা অপাংক্তেয় বিধান দিয়েছিলেন
পুরোহিতরা। ১৯ শে মে-র
শপথ হোক ব্রাত্যজনের সুমহান
উত্থান।
বাংলাভাষার
অধিকার রক্ষার সংগ্রাম যে
সারা বিশ্বে মাতৃভাষার অধিকার
রক্ষার প্রতীক ও প্রেরণা হয়ে
দাঁড়াল তারই স্বীকৃতি দিয়েছে
ইউনেস্কো ২১ শে ফেব্রুয়ারীকে
মাতৃভাষা দিবস ঘোষণায়। ১৯ শে
মে-র
ভাষা আন্দোলনে এই বৃহৎ পরিসর
ছিল। বাংলা ভাষা বরাকের বাকি
সব ভাষাগোষ্ঠীর সমর্থন পেয়েছিল।
নেপালি ,
হিন্দি
, ডিমাসা
,
বিষ্ণুপ্রিয়া
মনিপুরী--
তখনও
মেঘালয় ,
অরুণাচল
হয় নি--
শিলং
, ইম্ফল,
খাসি
জয়ন্তিয়া পাহাড় বাঙালীর সাথে
পায়ে পা মিলিয়ে প্রতিরোধে
সামিল হয়েছিল। ভারত আজ কার্যত
বিভিন্ন জাতিসত্তার একটি
কারাগারে পরিণত। এই ক্রান্তিকালের
রাজনৈতিক প্রেক্ষিতটি বুঝতে
সুপ্রাবন্ধিক অসিত রায়ের শরণ
নিচ্ছি। তাঁর কথায়--
'ভারত
একটি সাম্রাজ্যরাষ্ট্র ও
সমস্ত জাতিসত্তার একট কারাগার।
জাতিগুলিও সুগঠিত নয়। কারণ,
দীর্ঘলালিত
বর্ণব্যবস্থায়
জাতিসত্তার মধ্যে ঐক্য গড়ে
ওঠে নি ব্রাহ্মণ্যবাদের
প্রভূত্বে। তার সঙ্গে যুক্ত
হয়েছে ঔপনিবেশিক হীনমন্যতা।
যার উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে
মিথ্যে হিন্দু-মুসলমানের
দেশভাগ এবং এখন কর্পোরেটদের
বিশ্বায়ন। এর স্রষটা কিন্তু
জিন্না নন।এই বিকলাঙ্গ পাকিস্তান
তিনি চান নি। তাকে ঘাড় ধাক্কা
দিয়ে পোকায় খাওয়া পাকিস্তান
নিয়ে বেরিয়ে যেতে বাধ্য করেন
নেহরু-প্যাটেল,
অবশ্যই
গান্ধীর আশীর্বাদসহ। তবে
তাঁকে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের
হাতে প্রাণ দিতে হয়। কিন্তু
জাতির জনক হিসেবে কারেন্সি
নোট,
আদালত,প্রশাসন
দফ্তর
আলো করে থাকেন। তাই সুভাষ
থাকেন ব্রাত্য। তাঁর পরিবারের
পেছন দু দশক ধরে গোয়েন্দা
লাগানো থাকলেও বাঙালি থাকে
মৌন। দুই ক্ষমতালোলুপ
সাম্রাজ্যরাষ্ট্রের
দুই প্রহরী। প্রথমজন,
নেহরু
পরিবার ৬৭ বছর কংগ্রেস পার্টি
চালিয়ে সাময়িক শাসনক্ষমতা
থেকে অপসারিত। তাদের
সাম্রাজ্যরাষ্ট্র
রক্ষণের নির্মমতার প্রয়োজন
কাশ্মিরি,
নাগা,
মিজো
ও অল্পবিস্তর সব রাজ্যই
মিটিয়েছে। অন্যজন প্যাটেল
ও তার মানসপুত্র নরেন্দ্র
মোদি যিনি গরীব দেশের কয়েক
হাজার কোটি টাকা খরচ করে
প্যাটেলের মূর্তি বানিয়েছেন।
এ নিয়ে লোকসভায় বাম-ডান
কাউকে কথা বলতে বা আঙ্গুল
তুলতে দেখি নি। এই সাম্রাজ্য-রাষ্ট্রের
দুই প্রহরী পার্টির সাধারণ
অবস্থান এক। হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্থান।
কংগ্রেস নরম সুরে বলে আর বিজেপি
বলে সোচ্চারে। অরুন্ধতি রায়ের
ভাষায় বলি,
কংগ্রেস
হল রাতের বিজেপি আর বিজেপি
হল দিনের কংগ্রেস। দুদলেরই
সমর্থনভূমি কর্পোরেট। তবে
কংগ্রেসের বেলায় তারা বিভক্ত।
আর বিজেপির কিছু ক্যাডারভিত্তিক
লেজুড় আছে। তারা আপোষহীন
হিন্দু জঙ্গী সংগঠন,
আর
এস এস ও বিশ্বহিন্দু পরিষদ।
এরা কর্পোরেটদের পক্ষে কিছুটা
অসুবিধাজনক। '
বাংলার
প্রথম ভুবন রাজনৈতিক ভাবে
ঢাকা। বাংলা সাহিত্যের সমৃদ্ধতর
উত্তরাধিকার পশ্চিমবাংলার
এ কথা তবু বাংলাদেশের অনেক
বন্ধুই বিশ্বাস করেন। এ
বিশ্বাসের মর্যাদা দিতে হলে
আমাদের ঘুরে দাঁড়ানো ছাড়া
গতি নেই। ১৯ শে মে আমাদের পথ
দেখাক।
১৯
শে মে মাতৃভাষা আন্দোলনে বিশ্ব
ইতিহাসের প্রথম মহিলা শহীদ
কমলা ভট্টাচার্য সহ মোট এগারো
বলিদান ,
পরে
আরও দুই ,
এই
ধারাতেই বিষ্ণুপ্রিয়া মনিপুরী
ভাষার জন্য প্রাণ উৎসর্গ
করেছেন যে বোনটি – সুদেষ্ণা
সিংহ তাদের পুণ্য স্মৃতিতে
,
আসুন
,
শপথ
নিই--
জান
দেব ,
জবান
দেব না।
No comments:
Post a Comment