Thursday 7 May 2015

দুটি কবিতা

প্রভুকে / পার্থ বসু
নিজেই গিয়েছ ফেঁসে , কাকে বলব সমাধান দাও ?
তোমারই শরণাগত , কোনদিন স্বাবলম্বী নই !
যেভাবেই হোক বাঁচো , নইলে এই নাদান বান্দাও
নাচার আশ্রয় করে বসতে পারে দুর্বিনীত মই
যা দিয়ে স্বর্গের সিঁড়ি অব্দি জানি যাবে না পৌঁছন।
গোল্লায় ? সেখানেও অবশিষ্ট আছে কিছু গুড় ?
এই প্রশ্নে আজ বড় উদ্বেলিত জনগণমন ,
অর্থাৎ সুযোগ আর তদ্দৃষ্টে পুণ্যলোভাতুর
তীর্থের কাকের ভিড়ে সাধু, বেশ্যা , স্তাবক , নিন্দুক
যখন হল্লায় মাতবে আমি ওই মই বেয়ে বেয়ে
কাঙ্ক্ষিত আঙুর বড় টক জ্ঞানে হব ইন্দুভুক
তখন নেপোয় দই মেরে গেলে তুমি থাকবে হতভম্ব চেয়ে !
বাসী হলে মিঠা হয় কথা যাহা গরীব উবাচ ।
সুইস ব্যাঙ্কের বই স্ফীত করে যেন তেন প্রকারেণ বাঁচো।।

সতীত্বঃ  

April 30, 2015 at 8:06pm  আয়শা ঝর্না
অসংখ্য লোকের ভিড়ে কুঁকড়ে পড়ে থাকি, হাত-পা ভাঁজ করে।
এ আসে ও আসে আমার চোখ খুবলে নেয়, চক্ষুশূন্য কোটর থেকে
ঝরে রক্ত..। কেউ একজন আমার নাক খুবলে নেয় নাকছাবি খুঁজতে
যেয়ে। কেউে এসে খোঁজে আমার সতীত্ব, কেউ খোঁজে শাখাসিঁদুর।
সিঁদুর খুঁজতে যেয়ে মাথার চামড়া তুলে ফেলে। চুড়ি ভাঙলে আমার
হাতের হাঁড় বেরিয়ে আসে আমি তবু পাথর। কুঁকড়ে পড়ে থাকা বিন্দু।

অসংখ্য ছুরির আঁচড় খেয়ে মা আমাকে আঁকড়ে ধরে বুকে। আর বলে,
’মেয়ে আমার, আয় এই বুকে, নেই তোকে জঠরে আবার।’  আমি তখন,
ঠিক তখনি জেগে উঠি পাথরঘুম থেকে। গুটিশুটি মেরে শুয়ে থাকি মায়ের
বুকে।
মা আমার মৃত্যুকে সহজ করতে গায় ঘুমপাড়ানিয়া গান। সে গান ছড়িয়ে
পড়ে নদীর স্বচ্ছ জলে যেখানে টুপটাপ রক্ত ঝরে অবিরাম মৃত্যুনামধারী
গাছ থেকে।

No comments:

Post a Comment